নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজামের ছত্রছায়ায় ফতুল্লার রামারবাগজুড়ে বছরের পর বছর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক।

৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর রূপ পরিবর্তন করে এখন বিএনপি নেতা বনে গেছে। গত ১৫ আগস্ট ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে এই আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাককে।

যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ফতুল্লা বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ জনসাধারন ও সচেতন মহল। তারা মনে করছেন আওয়ামীলীগের আমলে এই ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাক সন্ত্রসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এখন আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তার জার্সী পালটিয়ে বিএনপির কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করে আবারও তার সন্ত্রসী বাহিনী দিয়ে ভূমিদস্যুতা জুট ব্যবসা দখলসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার পায়তার করছে বলে যানাগেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের নাম ভাঙিয়ে ফতুল্লার রামারবাগ জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক। রামারবাগস্থ মেট্টো গার্মেন্টেসের জুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে পুরো এলাকায় চাঁদাবাজি, লুটতরাজসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতো আবদুর রাজ্জাক। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় নতুন রূপে ফিরেছে সে। পুরো এলাকায় এখন নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্জাক।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শাহ নিজামের পরিচয় দিয়ে এলাকায় যা ইচ্ছেখুশী করে বেড়াতো আবদুর রাজ্জাক। ভয়ে সাধারণ মানুষ কখনো তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কোন বিষয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না। অথচ, এখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর থেকে রূপ পাল্টে নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্জাক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা জানান, এই পল্টিবাজদের জায়গা দেওয়ার কারণেই দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময়ধরে ভুগেছে বিএনপি। নতুন করে আবার আওয়ামী ঘরানার লোকদের দলে সুযোগ করে দিলে পরিস্থিতির মন্দ ছাড়া কখনো ভালো হবে না। সুতরাং এখনই বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের ভাবা উচিৎ।

এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাককে মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন দলের সাথে জরিতনা আমি রামারবাগ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি এলাকার মসজিদের উন্নয়ণ কাজে জন্য আমার সবার কাছে যেতে হয়। এখানে আওয়ামীলীগ বিএনপি জামায়াত শিবির বড় কথা নয় সবার কাছে যেতে হয়। আর আমি এলাকায় কোন জুট সন্ত্রসী চাঁদাবাজী করিনা।